ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

অভিনয় করতে চেয়েছিলেন মেয়ে, সঞ্জয় বললেন ‘মেরে পা ভেঙে দেবো’

দৈনিক সবুজ নিশান

অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম

অভিনয় করতে চেয়েছিলেন মেয়ে, সঞ্জয় বললেন ‘মেরে পা ভেঙে দেবো’

ত্রিশলা দত্তের ইচ্ছে ছিল বাবা, দাদা, দাদির মতো শোবিজে কাজ করার। রিচা শর্মা ও সঞ্জয়ের একমাত্র মেয়ে ত্রিশলা দত্ত। শুরু থেকেই তাদের বাবা-মেয়ের সম্পর্ক দারুণ। অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাবার কাছে। সঞ্জয় রাজি হননি। ‘মেরে পা ভেঙে দেবো যদি আমার মেয়ে অভিনয় করতে চায়’, ক্ষেপে গিয়ে বলেছিলেন সঞ্জয়।

বেশ কয়েক বছর আগের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতাকে তার মেয়েকে নিয়ে কী স্বপ্ন সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে অকপটে জানান, মেয়ে অভিনেত্রী হউক চান না তিনি। অধিকাংশ তারকা-সন্তানই বাবা-মায়ের দেখানো পথেই হাঁটেন। কেউ সাফল্য পান, কেউ পান না।

বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত কন্যা ত্রিশলা দত্তকে অভিনয়ে দেখতে চাননি—এমনকি এতটাই আপত্তি ছিল যে রেগে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে যদি অভিনয় করতে চায়, তাহলে আমি ওর পা ভেঙে দেবো!’

এই মন্তব্য এক সময়কার একটি সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন ‘খলনায়ক’ খ্যাত এই অভিনেতা। যদিও কথাটি রেগে গিয়ে বলা হলেও, এর ভেতরে ছিল তার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরনের ভয় ও পিতৃসুলভ উদ্বেগ।

সঞ্জয় দত্ত ও প্রয়াত অভিনেত্রী রিচা শর্মার একমাত্র মেয়ে ত্রিশলা দত্ত। বেশিরভাগ বলিউড তারকার সন্তান যেখানে বাবার- মায়ের দেখানো পথে অভিনয় জগতে পা রাখেন, সেখানে ত্রিশলা বেছে নিয়েছেন ভিন্ন জীবনধারা।

তিনি বিদেশে ফরেন্সিক সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং বর্তমানে সাইকোথেরাপি পেশায় যুক্ত আছেন, থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

সঞ্জয়ের ভাষায়, ‘আমার ইচ্ছা ছিল, ত্রিশলা পড়াশোনা শেষ করে এফবিআই-এ চাকরি করবে। যদিও সেটা হয়নি, তবুও সে এখন যে পথে এগোচ্ছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।’

সঞ্জয় দত্ত মনে করেন, বলিউডে কাজ করতে হলে হিন্দি ভাষা ও ভারতীয় সংস্কৃতির গভীর ধারণা থাকা জরুরি। তার মতে, বিদেশে বড় হওয়া ত্রিশলার জন্য সেটা এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা হতে পারত।

তিনি বলেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার দরকারটাই বা কী? তাছাড়া হিন্দি সিনেমায় ভাষার দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিশলার ক্ষেত্রে সেটা চ্যালেঞ্জ হতো।’

মেয়ে অভিনয়ের পেছনে না ছুটে পেশাগত ও একাডেমিকভাবে পরিপক্ব পথে হাঁটছেন—এতে সঞ্জয় এখন স্বস্তি বোধ করেন। তিনি বলেন, ‘জানি না, তার মাথায় অভিনেত্রী হওয়ার চিন্তা কে ঢুকিয়েছিল। তবে এখন সেটা মাথা থেকে নেমেছে—এই বিশ্বাসেই আমি নিশ্চিন্ত।’

তার বরাবর ইচ্ছা ছিল, মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে এফবিআই (ফেডেরাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)-এ চাকরি করবে। যদিও অভিনেতা কন্যার এফবিআই কর্মকর্তা হয়নি। বর্তমানে আমেরিকায় সাইকোথেরাপি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

ত্রিশলার অন্য পেশা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সঞ্জয় সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জানি না, অভিনেত্রী হওয়ার কথা কে মাথায় ঢুকিয়েছিল। তবে সেই ভূত যে নেমেছে আমি নিশ্চিন্ত। যথেষ্ট ভালো ক্যারিয়ার তার।’

দৈনিক সবুজ নিশান

Link copied!